Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
সৈয়দ মলং শাহ্‌
স্থান
পাকুন্দিয়া
কিভাবে যাওয়া যায়
ঢাকার মহাখালি বাস কাউন্টার থেকে কিশোরগঞ্জ গামী যেকোন বাসে পাকুন্দিয়া নামতে হবে।
বিস্তারিত

 পশ্চিমাদেশ থেকে এদেশে শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচারের জন্য কিছু আউলিয়া দরবেশ এসেছিলেন, তম্মধ্যে সৈয়দ মলং শাহ্‌ একজন। সৈয়দ মলং শাহ্‌ বনজঙ্গল বেষ্টিত পাকুন্দিয়ার এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে ইসলামের অমোগবাণী প্রচারের জন্য তিনি আস্তানা গেরেছিলেন। তিনি অতীব সুন্দর, সহজ বোধ্যভাবে সুললিত কন্ঠে ইসলামের বিভিন্ন তথ্য ও আল্লাহ প্রদত্ত কিছু বাণীর তর্জমা করতেন। তাঁর গরুগার্ম্ভীয চলাফেরা ভ্রাতৃত্বপূর্ণ পরিবেশে সৌহার্দ পূর্ণ আচরণের জন্য এ এলাকার ইসলাম ধর্ম প্রাণ প্রিয় মানুষেরা তাঁকে হৃদয় মনদিয়ে ভালোবাসত এবং অকৃত্রিম ভাবে শ্রদ্ধা করত। একদিন জঙ্গলের পার্শ্বে এক উন্মোক্ত স্থানে তাঁর ভক্ত ও অনুসারীদের মাঝে ইসলামের তাৎপর্য পূর্ণ বাণী শুনাচ্ছিলেন। হঠাৎ জঙ্গল থেকে একটি ব্যাঘ্র এসে তাঁর এক ভক্তকে আক্রমণ করে বসে। তিনি তৎক্ষনাৎ দ্রুত দৌড়ে গিয়ে বজ্রের মত খালিহাতে বাঘের গালে এক থাপ্পর দেন। তাঁর থাপ্পর খেয়ে বাঘ প্রাণ ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে তাঁর ভক্ত ও অনুসারীরা তাঁকে ধর্মীয় আধ্যাত্বিক চেতনায় একজন সমৃদ্ধ ব্যক্তি হিসাবে মনে করত এবং তাঁকে "পাকুয়ান" বলে প্রচার করত। তিনি এ এলাকার মানুষের ভালবাসার কারণে অন্য এলাকায় যেতে না পেরে স্থায়ীভাবে এ পাকুন্দিয়ায় অবস্থান করেন। তিনি পরলোকগমন করলে তাঁকে পাকুন্দিয়া বাজারের দক্ষিণ পশ্চিম কোণে পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর পাকা রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে সমাহিত করা হয়। অতঃপর তাঁকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের    মানুষের কাছে এক মহিয়ান ব্যক্তি হিসাবে চরি জাগরুক করেরা খার জন্য তাঁরার ও জাকে এ এলাকার মানুষ শ্রদ্ধার সাথে সংরক্ষণ করে আসছে। তাইতো সৈয়দ মলং শাহ্‌ একজন উল্লখেযোগ্য ও প্রসিদ্ধ ব্যক্তি।