ঐতিহাসিক এগারসিন্দুরের রণাঙ্গণে মল্লযুদ্ধে পরাজিত হয়ে মোঘল প্রধান সেনাপতি মানসিংহ লৌহ মানব ঈশা খাঁ'র মহানুভবতার জন্য সম্রাট আকবরের দরবার থেকে পুরস্কার হিসাবে ২২পরগণার জমিদারী নিয়ে আসার পথে উৎফুল্ল ঈশা খাঁ তার মনের মানুষ দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা সোনামনিকে বিয়ে করার জন্য ঢাকা থেকে পান, সুপারি, মিষ্টি,উপঢৌকন ও বিয়ের সামগ্রী নিয়ে কোষার বহর নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে জঙ্গলবাড়ী অভিমুখে প্রবাহিত হওয়া নদী বেয়ে যাওয়ার সময় ভোর বেলা তিনি হঠাৎ তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পরেন। তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় দেখতে পান জলের অভিষ্টাত্রী স্বয়ং গংগা দেবী তাকে বলছেন, হে ঈশা খাঁ তুমিতো আগামী কাল আমার বোনঝি সোনামনিকে বিয়ে করতে যাচ্ছ, আর তাকে বিয়ে করার জন্য অনেক মিষ্টি ভর্তি কোষা নিয়ে যাচ্ছ,সামনের কুঁড়ে আমার জন্য কিছু মিষ্টি দিয়ে যেয়ো। ঈশা খাঁ'র তন্দ্রা ভেঙ্গে গেলে তাঁর স্বপ্নের কথা সহযাত্রী কাউকে বলার পূর্বে যখন কুঁড় পাড় হয়ে যায় যায় ঠিক তখন হঠাৎ মিষ্টি ভর্তি একটি কোষা পানির নিচে তলিয়ে যেতে থাকে। ঈশা খাঁ তার বহরে থাকা অনেক শিকল ও ডুবুরী ব্যবহার করেও আর কোষাটিকে উদ্ধার করতে পারেননি। ব্যর্থ মনোরথ নিয়ে তাঁর চলে যাওয়ার দীর্ঘকাল পর চলমান নদীটি কালের আবর্তে বিলিন হয়ে চর এলাকায় পরিনত হতে থাকলে হঠাৎ একদিন মাটির নিচ থেকে কোষাআকৃতির একটি মাটির টিলা মাটির উপরে উঠে এসে- সৃষ্ট্রলিগ্ন থেকে এ যাবৎ কোষা আবির্ভাবের কথা রহস্যের অন্তরালে আজও বিরাজমান। তবে লোক মুখে প্রচারিত আছে যে, এ কোষার দুমাথায় দ্বৈব গজে উঠা তাল গাছ দু'টোর পাতায় প্রতি মাসের পূর্ণিমার রাতে আলোর ঝলকানি দেখা যায়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস